ANM GNM GK Quiz Festival

অম্বুবাচী মেলা হিন্দু ধর্মের বাৎসরিক উৎসব। লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। ভারতের অসম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে প্রতি বৎসর অম্বুবাচী মেলার আয়োজন করা হয়। মোয়াটসু নাগাল্যান্ডের, চাপচার কুট মিজোরামের এবং ওয়ানগালা মেঘালয়ের উৎসব।

পেদ্দা পান্ডুগা অন্ধ্রপ্রদেশে পালিত একটি প্রধান উৎসব, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। এটি সূর্যের মকর রাশিতে (মকর রাশি) স্থানান্তর এবং সূচনাকে চিহ্নিত করে দীর্ঘ দিনের। তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল, কর্ণাটকে মকর संक्रमण এবং কেরালায় মকর ভিলাক্কু নামে পালিত হয়।

Shogatsu হল জাপানের নতুন বছরের উদ্যাপন। এটি জানুয়ারি মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত পালিত হয়। ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও ব্রাজিলে এই নামে নতুন বছর পালিত হয় না।

কেরল রাজ্যের কয়েকটি উৎসব : তিরুভাথিরা বা তিরুভাথিরাই, ওনাম, বিষু, সবরিমালা মন্দির উৎসব, কোডুঙ্গাল্লুর ভরনি, ভেট্টা এবং আরাস্তু, মাকারা ভিলাকু, বেমাপল্লী উরুস, পট্টম্বি নের্চা প্রভৃতি। এটি ভগবান শিবের নক্ষত্রের সাথে সম্পর্কিত।

হিন্দু বর্ষপঞ্জি অনুসারে চৈত্র মাসের প্রথম দিনে ‘Gudi Padwa’ পালিত হয়। এটি মারাঠী এবং কঙ্কনি হিন্দুদের নতুন বছরকে চিহ্নিত করে। এটি মহারাষ্ট্র, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, দাদরা এবং নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ এ পালিত হয়।

ছালিয়া সাহেব উৎসব ৪০ দিনব্যাপী পালিত হয়, যেখানে সিন্ধি সম্প্রদায়ের মানুষ ভগবান ঝুলেলালের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপবাস ও প্রার্থনা করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

গুণকান্ত দত্ত বরবিয়ান একজন প্রখ্যাত সত্রিয়া শিল্পী যিনি সত্রিয়ার প্রচার ও বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। সত্রিয় নৃত্য ফর্ম এটি আটটি প্রধান শাস্ত্রীয় ভারতীয় নৃত্য ঐতিহ্যের মধ্যে একটি। ভারতের আসাম রাজ্যে উদ্ভূত, সাত্রিয়া নৃত্য ঐতিহ্য প্রাথমিকভাবে একটি টেম (মন্দির) নৃত্য ছিল।

সিকিম ভুটিয়া লোক নৃত্য ‘তাশি সবদো’ – এই প্রাচীন গোষ্ঠীর নৃত্যটি। নর্তকরা ইয়ারখা, ঢোল, বাঁশি এবং ইয়াংজেয়ের মতো বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে সুরেলা সুরে নৃত্য করেন। মুনারি ওড়িশার, ভাঙ্গরা পাঞ্জাবের এবং কোলাট্টাম দক্ষিণ ভারতের নৃত্য।

উত্তরাখণ্ডের কিছু প্রধান উৎসব- বসন্ত পঞ্চমী, ভিটাউলি, হরেলা, ফুলদেই, বটসাবিত্রী, গঙ্গা দশেরা, দিকর পূজা, ওলগি বা ঘি সংক্রান্তি, খাতরুয়া, ঘুইয়ান একাদশী এবং ঘুঘুটিয়া। ফুলদেই বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে।

সরোদি সাইকিয়া একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী, নৃত্য শিক্ষক এবং আসামের চেতার বাদক। তিনি তার সাত্রিয়া নৃত্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। সাইকিয়া ২০১৫ সালে সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান।

নৌচন্ডী মেলা হল মিরাটের নৌচন্ডী ময়দানে অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক মেলা। এটি সাধারণত হোলির পরে দ্বিতীয় রবিবার থেকে শুরু হয়। প্রধান প্রদর্শনী হল গ্রামীণ উত্তর প্রদেশে অনুসৃত শৈল্পিক এবং ধর্মীয় আচার।

লুই এনগাই নি হল ভারতের মণিপুরের নাগা উপজাতিদের দ্বারা পালিত বীজ বপনের উৎসব। উৎসবটি বীজ বপনের মরসুমের সূচনা করে।

ঘোডেমোডনি গোয়ার একটি জনপ্রিয় লোকনৃত্য যা মারাঠা যোদ্ধাদের এবং তাদের যুদ্ধের কৌশলকে চিত্রিত করে। এটি শিগমো উৎসবের সময় পরিবেশিত হয়।

বাথুকাম্মা হল একটি হিন্দু ফুল-উৎসব যা তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশের মহিলারা পালন করে। প্রতি বছর এই উৎসবটি সাতবাহন ক্যালেন্ডার অনুসারে পিতৃ অমাবস্যা থেকে শুরু করে নয় দিন ধরে পালিত হয়, যা সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের সাথে মিলে যায়।

সাত্রিয়া নৃত্য আসামের বৈষ্ণব মঠ বা সত্র থেকে উদ্ভূত একটি শাস্ত্রীয় নৃত্য। এটি মূলত শ্রীমন্ত শংকরদেব কর্তৃক প্রবর্তিত বৈষ্ণব (হিন্দু) ধর্মের দর্শন ও পৌরাণিক কাহিনীকে ভিত্তি করে পরিবেশিত হয়।

খারচি পূজা ত্রিপুরার অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। এটি একটি সপ্তাহব্যাপী রাজকীয় পূজা। এই উৎসব আগরতলায় চৌদ্দ দেবতার মন্দির চত্বরে পালিত হয়। এখানে ১৪ জন দেবতার পূজা করা হয়।

মহীশূরের দশরা এই অঞ্চলের একটি ১০ দিনের উৎসব যা বিজয়াদশমী বা দশম দিনে শেষ হয়। এটি মহিষাসুর মর্দিনীর জয়কে চিহ্নিত করে।

অন্ধ্রপ্রদেশের লোকনৃত্য-ডান্ডারিয়া নৃত্য, ধীমসা, ধমাল নৃত্য, গোব্বি নৃত্য, বীরনাট্যম, বাট্টা বোম্মালু, বোনালু, দাপ্পু, মাথুরি নৃত্য, বাথাকাম্মা প্রভৃতি। লাম্বাদি এই অঞ্চলের বানজারা উপজাতির নৃত্য।

ভেম্পতি চিন্না সত্যম ছিলেন একজন ভারতীয় নৃত্যশিল্পী এবং কুচিপুড়ি নৃত্যের গুরু। চিন্না সত্যম অন্ধ্রপ্রদেশের কুচিপুডিতে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে বেদান্তম লক্ষ্মী নারায়ণ শাস্ত্রী শিক্ষা দিয়েছিলেন।

অরুণাচলপ্রদেশের Adi Tribe এর একটি জনপ্রিয় উৎসব ‘Solung’ সেটি প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন পালিত হয়। এটি একটি Harvest ফেস্টিভ্যাল, যেটি বীজ বপন এবং প্রতিস্থাপনের পর ভালো ফসলের জন্য পালন করা হয়।

আসামের প্রধান উৎসব বিহু। পাঞ্জাবে বৈশাখী, কেরালায় ওনাম এবং তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল পালিত হয়। বিহু বছরে তিনবার পালিত হয় – বোহাগ, কাতি এবং মাঘ।

অরুণাচলপ্রদেশের ‘Zero Velley’ তে বসবাসকারী একটি তপসিল উপজাতি হল ‘আপাতানি গোষ্ঠী’ যারা আবার ‘তানি’ নামে পরিচিত। ‘Dree’ ফেস্টিভ্যাল হল অরুণাচলপ্রদেশের আপাতানি উপজাতি দ্বারা পালিত বিখ্যাত ফসল কাটার উৎসব।

‘Sazo’ হল হিমাচলপ্রদেশের কিন্নর জেলায় পালিত একটি প্রাচীন উৎসব। এটি স্থানীয় দেবতাদের বিদায় এবং নতুন ঋতুকে স্বাগত জানানোর উৎসব।

‘লোসার’ মানে তিব্বতীয় ভাষায় নতুন বছর, যেটি মূলত লাদাখ, অরুণাচলপ্রদেশ এবং সিকিমের কিছু অংশে পালন করা হয়। এটি তিব্বতি বৌদ্ধদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

Hornbill এবং Moatsu উভয় ফেস্টিভ্যালই প্রধানত নাগাল্যান্ড রাজ্যে পালিত হয়। নাগাল্যান্ড রাজ্যে Hornbill উৎসবকে মহোৎসব (Festival of Festivals) বলা হয়। হর্নবিল ডিসেম্বরে এবং মোয়াটসু মে মাসে পালিত হয়।

ত্রিশুর পুরম হল ভারতের কেরালার ত্রিশুরে অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক হিন্দু মন্দির উৎসব। এটি ত্রিশুরের ভাদাকুন্নাথান মন্দিরে প্রতি বছর পুরমদিনে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ভারতের সমস্ত পুরামগুলির মধ্যে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত।

‘Shigmotsav’ অথবা ‘Shigmo’ উৎসবটি গোয়া রাজ্যে পালিত হয়। এটি ফাল্গুন মাসে পালিত একটি রঙের উৎসব এবং বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে। সারোক অরুণাচল প্রদেশের, পোংটু নাগাল্যান্ডের উৎসব।

মিজোরাম রাজ্যে পালিত সমস্ত উৎসব গুলির মধ্যে ‘Pawl Kut’ হল সর্বশ্রেষ্ঠ। সমস্ত ফসল কাটা শেষ হয়ে গেলে, এই ফসল কাটা উৎসবটি খুব আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়। উৎসবটি সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে পালিত হয়।

সিন্ধু সম্প্রদায় মকর সংক্রান্তি তিজরি হিসাবে উদযাপন করে, যা কিছু অঞ্চলে তিরমুরি নামেও পরিচিত। এটি শীতকালীন অয়নান্তের পরের উৎসব।

শোভনা নারায়ণ একজন বিখ্যাত ও স্বীকৃত ভারতীয় কথক নৃত্যশিল্পী। একজন কথক শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি তিনি ভারতীয় নিরীক্ষা ও অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন।

সিকিমের লেপচারা তাদের চু ফাট নৃত্যের মাধ্যমে মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট কাব্রু, মাউন্ট সিমব্রাম, মাউন্ট পান্ডিম এবং মাউন্ট নরশিং এই পাঁচটি পাহাড়ের পূজা করে এবং খনিজ, লবণ, ওষুধ, খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানায়।

রাম্মান হল ভারতের গাড়োয়াল অঞ্চলের একটি ধর্মীয় উৎসব এবং আচার অনুষ্ঠান। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার পাইনখান্দা উপত্যকার সালুর ডুংরা গ্রামের গাড়োয়ালি জাতি পালন করে। এটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের অংশ।

কালা ঘোড়া আর্ট ফেস্টিভ্যাল হল বার্ষিক উৎসব, নয় দিনব্যাপী, সর্বদা ফেব্রুয়ারির প্রথম শনিবার শুরু হয় এবং বন্ধ হয় ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রবিবারে, ভারতের দক্ষিণ মুম্বাইয়ের কালা ঘোড়া এলাকায়। এটি একটি বহু-সাংস্কৃতিক উৎসব।

পেশাগত দিক দিয়ে নামদেব ছিলেন দর্জি, কবির ছিলেন তাঁতি এবং রবিদাস ছিলেন মুচি। সুরদাস এবং তুলসীদাস প্রধানত কবি ও সাধক ছিলেন, তাদের পেশা ভিন্ন ছিল।

পশুবল পান্ডুগা বা গবাদি পশু উৎসব অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যেখানে পশুদের সজ্জিত করা হয় এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এটি সাধারণত সংক্রান্তি বা উগাদির সময় পালিত হয়।

চন্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের ১৫তম দিনে পশ্চিম সিকিমের তাশিডিং মঠে বুমচু উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবে একটি পবিত্র পাত্র থেকে জল বিতরণ করা হয়, যা ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়।

সিকিমের আদিবাসী লেপচারা প্রকৃতির সাথে তাদের গভীর সংযোগের জন্য পরিচিত। তাদের উৎসবগুলি প্রায়ই কৃষি এবং ফসলের চারপাশে আবর্তিত হয়, জো মাল লোকের মতো নৃত্যগুলি ধান ক্ষেতের বপন এবং কাটার চিত্রিত করে।

শুমাং লীলা হল মণিপুর রাজ্যের একটি জনপ্রিয় থিয়েটার উৎসব, যা ঐতিহ্যবাহী নাটক এবং অভিনয় প্রদর্শন করে। এটি মণিপুরের বিভিন্ন অংশে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এটি পুরুষ শিল্পীদের দ্বারা মহিলা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচিত।

হিমাচলপ্রদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় উৎসব- গোচি উৎসব, কুন্নু দশেরা, মানালি উৎসব, লোসার, মান্দি শিবরাত্রির মেলা, ডুংরি মেলা প্রভৃতি। গোচি উৎসব লাহুল-স্পিতি অঞ্চলে পুত্রসন্তানের জন্ম উপলক্ষে পালিত হয়।

সাম্মাক্কা সরলাম্মা বা মেদারম যাত্রা হল ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে উদ্যাপিত হিন্দু উপজাতীয় দেবদেবীদের সম্মান জানানোর একটি উৎসব। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জন সমাবেশের সাক্ষী হিসাবে পরিচিত এবং ৪ দিন ধরে চলে।

পুরন্দর দাস আরাধনা মূলত একটি শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব। এটি কানাড়া সাধু সুরকার পুরন্দর দাসের বার্ষিক আরাধনা, যাকে কর্ণাটক সংগীতের ‘পিতামহ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

পার্সি নতুন বছরের প্রথম দিন নওরোজ বা Pateti নামে পরিচিত, যেটি ইরানি ক্যালেন্ডারের সূচনা করে। বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায় দ্বারা এই উৎসবটি উদযাপিত হয়। এটি মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের জনপ্রিয় উৎসব।

রমজান হল একটি ইসলামিক ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং রোজার পবিত্র মাস। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কঠোর দৈনিক উপবাস পালন করে।

রঙ্গলি বিহু বা বোহাগ বিহু আসামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বসন্ত উৎসব, যা অসমীয়া নববর্ষের সূচনা করে। এটি আনন্দ, নৃত্য এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে পালিত হয়।

পুলি কালি হল লোক শিল্প, নৃত্য, সংগীত এবং নাটকের একটি রুপ যা বাঘ শিকারের বিষয়বস্তুকে চিহ্নিত করে। এই অনুষ্ঠানটি দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। ওনামের একটি প্রধান আকর্ষণ।

রামনবমী উৎসব রামের জন্মগ্রহণ উদ্যাপন করতে চৈত্র মাসে নবম দিনে পালিত হয়, যা ঐতিহ্যবাহী হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস। এটি চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিন।

‘Moatsu’ হল নাগাল্যান্ডের AO জনজাতি দ্বারা পালিত উৎসব। এটি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তিন দিন ধরে পালিত হয়। এটি বপনকার্য শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম ও বিনোদনের উৎসব।

হর্ণবিল উৎসবটি সাধারণত নাগাল্যান্ডে প্রতিবছর ১লা থেকে ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে পালিত হয়। এটি নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন উপজাতির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে।

গুড ফ্রাইডে ইস্টার রবিবারের আগের শুক্রবার পালন করা হয়। এটি সেই দিনটিকে চিহ্নিত করে যখন যীশু খ্রীষ্টকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয়েছিল। এটি সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ইস্টার হল পুনরুত্থানের দিন।

মেঘালয়ের ওয়ানগালা উৎসব মেঘালয়ের গারো উপজাতিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব। এটি একটি ফসল কাটার উৎসব যা সালজং (Saljong), উর্বরতার দেবতা সূর্যের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ‘১০০ ঢোলের উৎসব’ নামেও পরিচিত।

তাজমহোৎসব হল আগ্রার শিল্প গ্রামে একটি বার্ষিক ১০ দিনের অনুষ্ঠান (১৮-২৭ ফেব্রুয়ারি)। এটি ভারতের শিল্প, সংস্কৃতি এবং রন্ধনপ্রণালী প্রদর্শন করে। হাম্পি নৃত্য উৎসব কর্ণাটকে, নাট্টঞ্জলি তামিলনাড়ুতে এবং নিশাগন্ধী কেরালায় পালিত হয়।

প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবটি হিন্দু দেবতা সূর্যদেবকে উৎসর্গ করা হয়। এটি সূর্যের উত্তরায়ণ গতিকে চিহ্নিত করে।

‘Buhsu Jiba’ হল নাগাল্যান্ডের ডিমাসা-কাছারি উপজাতির উৎসব যেটি মূলত ফসল তোলার পরের উৎসব এবং প্রতিবছর জানুয়ারী মাসে পালন করা হয়।

সাগা-দাওয়া (Saga Dawa) অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার Monpa দের দ্বারা উদ্যাপিত একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ উৎসব। উৎসবটি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের চতুর্থ মাসে উদ্যাপিত হয়। এটি বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপরিনির্বাণের দিনটিকে স্মরণ করে। এটি সিকিমেও পালিত হয়।

বার্ষিক নৌকা রেস উৎসব ভারতের কেরল রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ওনাম উৎসবের একটি অংশ। এটি আলাপ্পুঝার কাছে পুন্নমাদা হ্রদে অনুষ্ঠিত হয় (নেহেরু ট্রফি বোট রেস)।

‘নাট্টঞ্জলি উৎসব’ প্রতিবছর তামিলনাড়ুতে মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে পালিত হয়। এটি সাধারণত ভগবান শিবের অবতার নটরাজকে উৎসর্গ করা হয়। এটি একটি নৃত্য উৎসব।

টুসু উৎসব হল একটি লোক উৎসব যা বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ মকর সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। এটি ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের সঙ্গে সম্পর্কিত। লোসার বৌদ্ধদের, চাভাংকূট মনিপুরের এবং সাগা দাওয়া সিকিম ও অরুণাচলপ্রদেশের উৎসব।

দেবী মহাকালীকে কেন্দ্র করে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে এই ঐতিহ্যবাহী হিন্দু ‘Bonalu’ উৎসবটি পালিত হয়। বোনালু ও বাথুকাম্মা হল তেলেঙ্গানার রাজ্য উৎসব। এটি আষাঢ় মাসে পালিত হয়।

তামিল সম্প্রদায় দ্বারা পালিত হয় পোঙ্গল। এই উৎসবের উদ্দেশ্য হল সূর্য এবং প্রকৃতি মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো। এটি চার দিনব্যাপী ফসল কাটার উৎসব।

গুরু নানক দেবের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে শিখ ধর্মের পবিত্র উৎসব ‘Gurpurab’ পালিত হয়। গুরু নানক শিখ ধর্মের প্রবর্তক এবং প্রথম শিখ গুরু।

দোলযাত্রা একটি পূর্ণিমার দিনে উদ্যাপিত হয় এবং এটি ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা হয়। এটি বসন্ত উৎসব যা হোলির সাথে সম্পর্কিত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে। রঙ্কার, ভেলদিয়া, বৈশাগু ভিন্ন উৎসব।

রামনবমী হল একটি হিন্দু বসন্ত উৎসব যেটি চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবম দিনে, অর্থাৎ এপ্রিল মাসে পালিত হয়। এটি ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের জন্মবার্ষিকী।

মধ্যপ্রদেশের একটি জনপ্রিয় মেলা এবং উৎসব হল ‘Lokrang Utsav’। প্রতিবছর ২৬শে জানুয়ারি ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবসে লোকনৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী এই দর্শনীয় প্রদর্শনী শুরু হয় ভোপালে।

কর্ণাটকের কিছু বিখ্যাত সাংস্কৃতিক উৎসব হল হাম্পি নৃত্য উৎসব, Pattadakal Dance, উপাদি এবং কারাগা ইত্যাদি। তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় উৎসব গুলি হল মামল্লাপুরম নৃত্য, পোঙ্গল, জাল্লিকাটু এবং Mahamaham উৎসব ইত্যাদি। ওনাম, বিশু, থেইয়াম, আটুকাল পোঙ্গল এবং নিশাগন্ধী নৃত্য ইত্যাদি উৎসবগুলি কেরালার প্রধান উৎসব। তাজ উৎসব উত্তরপ্রদেশে (আগ্রা)। সুতরাং ক্রম: কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ।

রাজা পরব ওডিশার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উৎসব, যা সাধারণত জুন মাসে তিন দিন ধরে পালিত হয়। অম্বুবাচী আসামের, পংটু অরুণাচল প্রদেশের এবং পোরাগ আসামের উৎসব।

রাক্ষস রাবনের বিরুদ্ধে ভগবান রামের বিজয়কে স্মরণ করার জন্য দশেরা উৎসব উদ্যাপন করা হয় যা খারাপের উপর ভালোর বিজয়কে চিহ্নিত করে। দশেরা, বিজয়াদশমী বা ‘বিজয়ের দিন’ নামেও পরিচিত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত ২৯ শে জানুয়ারির সন্ধ্যায় প্রজাতন্ত্র দিবসের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি নির্দেশ করে ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’। এটি ১৯৫৫ সালে শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

এই উৎসবটি হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে চারটি হিন্দু দেবতার কাঠের মূর্তিগুলির পাল্টানোর রীতি। ‘Nabakalebara’ উৎসব উদ্যাপনের পরবর্তী ৪ তম, ১২ তম অথবা ১৯ তম বছরে অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। ১৫৭৫ সালে যদুবংশীয় রাজা রামচন্দ্র দেব প্রথম এটি শুরু করেন। এটি ওডিশার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

নবকলেবর অনুষ্ঠানটি ওডিশার পুরী শহরে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেবতাদের পুরনো কাঠের মূর্তির বদলে নতুন মূর্তি স্থাপন করা হয়।

মহরম উৎসবটি ‘Peerla Panduga’ নামেও পরিচিত। এটি তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এটি ইমাম হুসেনের শাহাদাতকে স্মরণ করে পালিত হয়।

বিজয় দশমী উৎসবটি ভারতের কিছু অংশে দশেরা নামে পরিচিত। উৎসবটি নবরাত্রীর সমাপ্তি চিহ্নিত করে। এই উৎসবে হিন্দুরা রাবণের কুস পুত্তলিকা দহন করে যা মন্দের শেষের ইঙ্গিতকে বোঝায়।

বোহাগ বিহু বা রঙ্গালি বিহু আসামে পালিত সাত দিনব্যাপী উৎসব যা অসমীয়া নববর্ষের সূচনা করে। এটি এপ্রিল মাসে পালিত হয় এবং আনন্দ, গান ও নৃত্যের মাধ্যমে উদযাপিত হয়।

মকর সংক্রান্তি আসামে মাঘ বিহু বা ভোগালী বিহু নামে পরিচিত। মাঘ বিহু বা ভোগালী বিহু একটি ফসল কাটার উৎসব যা মাঘ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ফসল কাটার মরসুমে পালিত হয়।

প্রতি ১২ বছরে ভারতের ৪টি ভিন্ন স্থানে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। যেমন হরিদ্বার (গঙ্গা), উজ্জয়ন (শিপ্রা নদী), প্রয়াগরাজ (গঙ্গা-যমুনার মঙ্গলস্থল) এবং নাসিক (গোदावरी নদী)। বোধগয়া বৌদ্ধদের পবিত্র তীর্থস্থান, কুম্ভ মেলার স্থান নয়।

ঈদ-উল-আধা বা বকরি ঈদ হজ তীর্থযাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে পালিত হয়। এটি ত্যাগের উৎসব। মিলাদ-উন-নবী নবীর জন্মদিন, ঈদ-উল-ফিতর রমজানের শেষে এবং মুহাররম ইসলামিক নববর্ষ।

ত্রিপুরা রাজ্যে খারচি পূজা উৎসব উদ্যাপিত হয়। এই উৎসবের ত্রিপুরী জনগণের রাজবংশীয় দেবতা গঠনকারী চৌদ্দ দেবতার পূজা করা হয়। এটি আগরতলায় পালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

দেব দীপাবলি দীপাবলির ১৫ দিন পর পূর্ণিমার দিনে বারানসী গঙ্গার তীরে পালন করা হয়। এই দিন দেবতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন বলে বিশ্বাস করা হয়।

সারহুল উৎসব নববর্ষের সূচনা করে। সারহুল মানে গাছের পূজা বিশেষত শাল গাছ। এটি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী (ওরাওঁ, মুন্ডা, হো) সম্প্রদায়ের একটি প্রধান উৎসব। বুশু ডিমাসা উপজাতির, ইয়েশে চাখেসাং নাগা এবং টুলুনি সেমা নাগা উপজাতির উৎসব।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আদিবাসীরা সারহুল উৎসব পালন করে, যেখানে তারা শাল গাছের পূজা করে স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে। এটি বসন্তকালে পালিত হয়।

‘Chalo Loku’ হল একটি ফসল কাটার উৎসব যা অরুণাচলপ্রদেশের নোক্তে উপজাতি অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পালন করে। এটি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উৎসব।

‘Nabakalebara’ উৎসবটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পালিত হয়। এই উৎসবে দেবতাদের কাঠের মূর্তি পরিবর্তন করা হয়, যা প্রতি ৮, ১২ বা ১৯ বছর অন্তর একটি অতিরিক্ত আষাঢ় মাস বা ‘অধিক মাস’ (Adik Masa) পড়লে অনুষ্ঠিত হয়।

ভগবান সূর্য এবং তার স্ত্রী, ছাতি মায়া, যিনি ভগবান ঊষা নামেও পরিচিত, তাদের উদ্দেশ্য। এটি প্রধানত বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ড রাজ্যে পালন করা হয়। ছট পূজা করা হয়।

পোঙ্গল তামিল সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত একটি ফসল কাটার উৎসব। এটি সাধারণত প্রতিবছর জানুয়ারির ১৪ বা ১৫ তারিখে পরে। পোঙ্গল থাই (Thai) নামক তামিল মাসের শুরুকে বোঝায়, যা একটি শুভ মাস হিসাবে বিবেচিত হয়। উগাদি ও গুড়ি পড়ওয়া মার্চ-এপ্রিলে এবং ওনাম আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পালিত হয়।

পোঙ্গল উৎসবটি মূলত সূর্য দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। এটি একটি ফসল কাটার উৎসব, যেখানে নতুন ফসল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করা হয় এবং ভালো ফসলের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

‘Vesak’ হল একটি বৌদ্ধ ধর্মের উৎসব যা বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয়। ‘Vesak’ বুদ্ধ জয়ন্তী, বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং বুদ্ধ দিবস নামেও পরিচিত। উৎসবের মাধ্যমে বুদ্ধের জন্ম, জ্ঞানপ্রাপ্তি ও পরিনির্বাণ স্মরণ করা হয়।

‘Vishu’ সংস্কৃতে কথার অর্থ হল ‘সমান’। এটি কেরালা রাজ্যে পালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং এটি মালয়ালি হিন্দুদের একটি নববর্ষের উৎসব। আসামে ‘Vishu’ Festival ‘Bishu’ নামে পরিচিত এবং পাঞ্জাবে ‘বৈশাখী’ নামে পরিচিত।

কেরালার বৃহত্তম মন্দির ফেস্টিভ্যাল ‘Thrissur Pooram’ প্রতিবছর ত্রিশুর শহরের ‘Vadakkunnathan (শিব) মন্দিরে প্রচুর আড়ম্বর এবং উৎসাহের সাথে পালিত হয়। কুলু দশেরা হিমাচলে, বাস্তার দশেরা ছত্তিশগড়ে এবং তিরুভাথিরা কেরালায় পালিত হয় কিন্তু ভাদাকুন্নাথন মন্দিরের সাথে বিশেষভাবে যুক্ত নয়।

ত্রিশূর পুরম একটি বার্ষিক উৎসব। এটি মালয়ালম মাস মেডামে (এপ্রিল-মে) অনুষ্ঠিত হয়।

ইহুদিদের আলোর উৎসবকে হানুক্কা বলা হয়। মোমবাতি জ্বালিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। এটি সাধারণত ডিসেম্বর মাসে আট দিন ধরে চলে। অ্যান্থুরিয়াম ফুলের নাম, হর্নবিল নাগাল্যান্ডের উৎসব এবং নওরোজ পার্সিদের নববর্ষ।

বালি যাত্রা উৎসবটি ওডিশার সমৃদ্ধ সামুদ্রিক ইতিহাসকে স্মরণ করে সারা রাজ্য জুড়ে উদযাপিত হয়। ঐতিহাসিক শহর কটকে কার্তিক পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়ে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কেরালায় পালিত সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব হল ওনাম। এই উৎসবটি সাধারণত আগস্টের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি একটি কৃষিভিত্তিক উৎসব। লোহরি, ভোগালী বিহু ও পোঙ্গল জানুয়ারি মাসে পালিত হয়।

‘Sekrenyi Festival’টি নাগাল্যান্ডের ‘Angami’ উপজাতির সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এটি অঙ্গামি Kezei মাসের ২৫ তম দিনে পড়ে। এটি ভোজ এবং গানের সাথে শুদ্ধি করনের উৎসব। এটিকে ‘Mini Hornbil’ উৎসবও বলে।

‘Nuakhai’ হল পশ্চিম ওডিশার ফসল কাটার উৎসব। ‘Nua’ কথার অর্থ হল নতুন এবং ‘Khai’ কথার অর্থ হল খাওয়া। এটি গণেশ চতুর্থীর পরের দিন পালিত হয়।

‘Vaisakhi’ কে ‘Baisakhi’ ও উচ্চারণ করা হয়। এটি বৈশাখ মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১৩ই এপ্রিল আবার কখনও ১৪ই এপ্রিল পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা ঘটে। এটি শিখদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

মিজোরামে কৃষকদের ফুল ও উদ্যান পালনকে উৎসাহিত করার জন্য ‘Anthusium festival’ পালন করা হয়। উৎসবটি সারাদেশ জুড়ে ও বিশ্বব্যাপী বহু দর্শকের সাক্ষী হয়েছে।

খাসি পাহাড়ের (মেঘালয়) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র Smit – এ শরৎ এর সময় ‘Shad Nongkrem’ নৃত্যের উৎসব পালিত হয়। খাসিদের ৫ দিনব্যাপী ধর্মীয় উৎসব ‘Ka Pomblang Nongkrem’ নৃত্যটি ‘Nongkrem’ নৃত্য নামেও পরিচিত।

চৈত্র মাসের পূর্ণিমার দিনে ‘Chitra Pournami’ হিন্দু উৎসব পালন করা হয়। এটি মূলত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অংশে পালিত হয়। তামিলনাড়ু এই ‘poompuhar’ সমুদ্র সৈকত ‘Chitra Pournami -‘ র জন্য বিখ্যাত।

ফুলের এক অনন্য উৎসব ‘Bathukamma’ হল তেলেঙ্গানার একটি রঙিন এবং প্রাণবন্ত উৎসব এবং এটি মহিলাদের দ্বারা উদ্যাপন করা হয়। এটি নয় দিন ধরে চলে।

বৈশাখী হল এমন একটি উৎসব যা প্রতি বছর পাঞ্জাব ও হরিয়ানার লোকেরা প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালন করে। শিখ ধর্মের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনে শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিং ধার্মিক খালসা পন্থ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উৎসব পাঞ্জাবে ফসল কাটার উৎসব নামেও পরিচত।

মেঘালয়ের ওয়ানগালা উৎসব গারো উপজাতিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব। ওয়ানগালা ফেস্টিভ্যাল ‘Festival of 100 drums’ নামেও পরিচিত। এটি ফসল কাটার উৎসব।

মধ্যপ্রদেশ সরকারের অধীনে কলা পরিষদ খাজুরাহো নৃত্য উৎসবটি আয়োজন করে। চান্দেলা রাজবংশ খাজুরাহো মন্দির নির্মাণ করেন। এই উৎসব ১৯৭৫ সালে শুরু হয়।

চাঁদের বর্ষপঞ্জির চৈত্র মাসের, প্রথম দিনটি Gudi Padwa হিসাবে পালিত হয়। এটি প্রধানত মহারাষ্ট্র রাজ্যে পালিত হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক সহ দাক্ষিণাত্যে অঞ্চলের লোকেরা একই দিনে ‘উগাদি’ হিসেবে পালন করে। এটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ‘চৈত্র নবরাত্রি’ হিসাবেও পালিত হয়।

পশ্চিমবঙ্গে ‘মকর সংক্রান্তি’, ‘পৌষ সংক্রান্তি’ নামে পরিচিত। এটি ‘উত্তরায়ন মাঘি’ বা ‘সংক্রান্তি’ নামেও পরিচিত। এটি জানুয়ারি মাসে পালিত হয়। বিভিন্ন রাজ্যে এই উৎসব বিভিন্ন নামে পরিচিতঃ গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ – উত্তরায়ণ বা Khichadi; ওডিশা – Makara Chaula; বিহার – Dahi Chura/Til Sakrat; কর্ণাটক – Suggi; তামিলনাড়ু – Pongal।

সঠিক মিল: (A) Vishu – (3) কেরালা; (B) Puthandu – (1) তামিলনাড়ু; (C) Gudi Padwa – (4) মহারাষ্ট্র; (D) Pohela Boishakh – (2) পশ্চিমবঙ্গ। সুতরাং A-3, B-1, C-4, D-2।

‘লোসার’ উৎসব অরুণাচলপ্রদেশের মনপা ও উপজাতি দ্বারা পালিত হয়। এটি ‘তিব্বতি নববর্ষ’ নামেও পরিচিত। এটি তিব্বতি বৌদ্ধদের একটি প্রধান উৎসব।

নাগাল্যান্ডে প্রতিবছর ১ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে হর্ণবিল উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবটি কোহিমা জেলার নাগা হেরিটেজ ভিলেজ সি কিসামায় নাগাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করে।

হর্নবিল উৎসব নাগাল্যান্ডে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে (১-১০ ডিসেম্বর) পালিত হয়। বানেশ্বর মেলা রাজস্থানে, বোহগিয়ু বিসু আসামে এবং ভাগোরিয়া উৎসব মধ্যপ্রদেশে ভিন্ন সময়ে পালিত হয়।

‘চাপচার কূট’ হল মিজোরামের একটি উৎসব, যা ঝুম চাষের শেষ হওয়ার পর উদ্যাপিত হয়। উৎসবের প্রধান নৃত্য- চেরাও নৃত্য। এটি বসন্ত উৎসব।

কুম্ভমেলা হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র উৎসব যেখানে সারা বিশ্বের বহু মানুষ একটি পবিত্র নদীতে স্নান করার জন্য একত্রিত হন। পরবর্তী কুম্ভমেলা মধ্যপ্রদেশে উজ্জয়িনীতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৮ সালে। (প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রধান কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়)।

মহাকুম্ভ প্রতি ১২ বছর অন্তর চারটি স্থানে (প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী) পালিত হয়। ২০২১ সালের কুম্ভমেলা (এটি অর্ধ কুম্ভ ছিল, যা প্রতি ৬ বছরে হয়, তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বিশেষ আয়োজন ছিল) হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরে শিপ্রা নদীর তীরে কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি চারটি প্রধান কুম্ভ মেলার স্থানের অন্যতম।

কুম্ভ মেলা হিন্দু ধর্মের একটি প্রধান তীর্থযাত্রা এবং উৎসব। প্রয়াগ রাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী নামে চারটি নদী তীরবর্তী তীর্থস্থানে এটি প্রায় ১২ বছরের একটি চক্রে পালিত হয়। (পূর্ণ কুম্ভ)। অর্ধ কুম্ভ প্রতি ৬ বছরে হয়।

IUCN রেড পান্ডাকে বিপন্ন প্রজাতির ক্যাটাগরিতে রাখে। এর প্রধান খাদ্য বাঁশের পাতা। এটি সিকিমের রাষ্ট্রীয় প্রাণী। সিকিমে শীতকালে পর্যটন আকর্ষণ করতে রেড পান্ডা কার্নিভাল বা উৎসব আয়োজিত হতে পারে।

জন বিল মেলা সাধারণত মাঘ বিহুর কয়েকদিন পরে অনুষ্ঠিত হয়। এটি আসামের মরিগাঁও জেলার দেওয়ান বেলগুরিতে পালিত হয়। Tiwa সম্প্রদায়ের লোকেরা এই মেলার আয়োজন করে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা।

কেন্দুলী মেলা হল একটি ঐতিহ্যবাহী বাউল সম্প্রদায়ের অনন্য সংগীত শিল্প মেলা। বাউলদের জন্মভূমি বীরভূম জেলার কেন্দুলী শহরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাটি ১৪ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন শুরু হয় এবং ১৬ই জানুয়ারি শেষ হয়। এটি জয়দেব কেন্দুলীর নামে পরিচিত।

পোঙ্গল শব্দের অর্থ ‘বিপ্লব’। পোঙ্গল’ হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে চার দিন ব্যাপী ফসল কাটার উৎসব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একদিনের পোঙ্গল উৎসব যাকে থাই পোঙ্গল / সূর্য পোঙ্গল বলা হয়। পোঙ্গল উৎসব ভোগী পোঙ্গল তামিল ক্যালেন্ডারে মার্গাজী (Margajhi) মাসের শেষ দিনে শুরু হয়। গুরু পূর্ণিমা, ইস্টার ও ঈদ-উল-ফিতর সরাসরি ফসল কাটার উৎসব নয়।

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভীল এবং ভিলালা উপজাতিরা ভাগোরিয়া উৎসব উদ্যাপন করে। এটি হোলি উৎসবের আগে মার্চ মাসে পালিত হয়। এটি একটি ফসল কাটার উৎসব Nagoba Jatara, Madai গোল্ডদের মধ্যে পালিত প্রধান উৎসব।

পুষ্কর মেলা দেশের বৃহত্তম পশু সম্পদ মেলা এবং সাংস্কৃতি সমাবেশ। এটি রাজস্থানের পুষ্কর শহরে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়ভাবে এটি ‘পুক্কর উট মেলা’ বা ‘কার্তিক মেলা’ নামে পরিচিত।

এই মেলার উদ্দেশ্য হল গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করা এবং তাদের ব্যবসা মজবুত করা। ব্রহ্মার একমাত্র মন্দির পুষ্করে অবস্থিত। এই মেলা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ উট, ঘোড়া ও গবাদি পশুর মেলা। পুষ্কর শহর আজমের জেলার অন্তর্গত।

রাজস্থানের পুষ্কর মেলা উট ব্যবসার জন্য বিখ্যাত, যেখানে বিপুল সংখ্যক উট কেনা-বেচা হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম উট মেলাগুলির মধ্যে একটি।

উপজাতীয় ফেস্টিভ্যালের নামটি এসেছে দাদরা এবং নগর হাভেলির বিখ্যাত এবং খুব জনপ্রিয় নৃত্য তরপা থেকে। দাদরা ও নগর হাভেলের ভালি, কোকনা এবং হোলি উপজাতিদের মধ্যে তরপা নৃত্যটি খুবই জনপ্রিয়।

ভাল্লাম কালী বা নৌকা রেস ভারতের কেরালার একটি ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। এটি প্রধানত বসন্তে ফসল কাটা উৎসব ওনামের মরশুমে পরিচালিত হয়। এটি শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, কেরালার সংস্কৃতির অংশ।

কেরালায় স্নেক বোট রেস (যেমন নেহেরু ট্রফি বোট রেস) অত্যন্ত বিখ্যাত। এটি ওনাম উৎসবের সময় আয়োজিত হয় এবং এটি একটি প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।

রাজস্থানের জয়পুর শহরে হাতির উৎসব জনপ্রিয় ভাবে পালিত হয়। সম্ভবত এটি হোলির দিনে পালিত হয়। বিশ্ব হাতি দিবস ২০১২ সালে চালু করা হয়েছিল।

মনিপুরের রাষ্ট্রীয় প্রাণী সাংগাই হরিণের নামানুসারে এই উৎসবের নামকরণ। মনিপুরকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই উৎসব পালিত হয়। এটি প্রতি বছর ২১-৩০ নভেম্বর পালিত হয়।

‘Me-Dum-Me-Phi’ কথার অর্থ হল- প্রার্থনা বা উপাসনা। পূর্বপুরুষদের পূজা করার উদ্দেশ্যে এই উৎসব পালিত হয়। এটি আসামের আহোম সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

তামিলনাড়ুর মহাবলি পুরম শহরে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে নৃত্য উৎসব মামল্লা পুরম উৎসবের আয়োজন করা হয়। এটি তামিলনাড়ুর পর্যটন বিভাগের সহযোগিতায় পালিত হয়। এটি শাস্ত্রীয় নৃত্যের উৎসব।

সাংগাই উৎসব মণিপুরে প্রতিবছর নভেম্বর মাসে (২১-৩০ নভেম্বর) পালিত হয়। এটি মণিপুরের রাজ্য প্রাণী সাংগাই হরিণের নামে নামকরণ করা হয়েছে এবং রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি তুলে ধরে।

‘উগাদি’ দক্ষিণ ভারতের একটি প্রধান উৎসব। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে এটি নববর্ষ রূপে উদ্যাপন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান ব্রহ্মা এই দিনে বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা করেছিলেন। এটি চৈত্র মাসের প্রথম দিনে পালিত হয়।

অরুণাচলপ্রদেশ সরকার পার্কে প্যাগা হর্নবিল’ উৎসবকে রাজ্য উৎসব হিসাবে ঘোষণা করেছে। এটি প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং হর্নবিল পাখির সুরক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করে।

কাম্বালা কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতা। এটি সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালে এটি নিষিদ্ধ হলেও পরে আইনিভাবে পুনরায় বৈধ করা হয়। (প্রশ্নপত্রে যাঁড়ের লড়াই লেখা হয়েছে, তবে কাম্বালা মূলত মহিষ দৌড়)। যদি ‘যাঁড়ের লড়াই’ বিকল্পটি থাকে, তাহলে সেটিই বাছতে হবে, যদিও মহিষ দৌড় বেশি সঠিক।

‘Gangaur Festival’ রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে মার্চ মাস থেকে শুরু হয়। এটি দেবী গৌরীর (পার্বতী) পূজা এবং এটি মহিলাদের দ্বারা পালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

নবরাত্রি হল একটি হিন্দু উৎসব যা দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে পালিত হয়। পুরুষরা প্রধানত কেডিয়া ও পাজামা পরেন। ডান্ডিয়ার লাঠি কাঠের হয়। গরবা এবং ডান্ডিয়া রাস নবরাত্রির সময় গুজরাট এবং অন্যান্য অঞ্চলে জনপ্রিয় নৃত্য।

বোহাগ বিহু বা রঙ্গালি বিহু ভারতের আসাম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পালিত বিখ্যাত উৎসব। এটি আসামের নতুন বছরের উৎসব যা ১৩ই এপ্রিল পালিত হয়। এটি ‘Xaat Bihu’ নামেও পরিচিত এবং ফসল কাটার মরশুমের শুরু চিহ্নিত করে।

ইস্টার যাকে Pascha অথবা পুনরুত্থান রবিবারও বলা হয়। Verna Equinox এর পর প্রথম পূর্ণিমার পরের রবিবার এই উৎসব পালিত হয়। এটি যিশুর পুনরুত্থানকে স্মরণ করে।

দীপাবলি হলো হিন্দুদের দ্বারা পালিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান রাম ১৪ বছরের নির্বাসনের পর তার রাজ্য অযোধ্যায় ফিরে আসে এই আনন্দে লোকেরা ঘি প্রদীপ জ্বালিয়েছিল। তাই এটি আলোর উৎসব নামেও পরিচিত।

কাম্বালা কর্ণাটকের উপকূলীয় জেলাগুলিতে অনুষ্ঠিত একটি ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক মহিষের দৌড় প্রতিযোগিতা।

প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার ছাপার গ্রামে এই ছাপার মেলা পালিত হয়। এই মেলায় মানুষ ‘Gugga’ সাপের মূর্তি পূজা করে।

‘নুয়া খাই’ হল কৃষি উৎসব যা মূলত পশ্চিম ওডিশা এবং দক্ষিণ ছত্রিশগড়ের লোকেরা পালন করে। নুয়াখাই হল নবান্ন উৎসব। মরশুমের নতুন ধানকে স্বাগত জানাতে এই উৎসব পালন করা হয়। এটি ভাদ্র মাসের পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয়।

হারবিন ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্নো ফেস্টিভ্যাল হল একটি বার্ষিক শীতকালীন উৎসব যা হারবিন Heilongjiang চীনে অনুষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বরফ ও স্নো ফেস্টিভ্যাল যা ১৯৬৩ সালে শুরু হয়। এই উৎসবটি ৫ই জানুয়ারি উদযাপিত হয় এবং ফেব্রুয়ারীর শেষ পর্যন্ত চলে।

আশ্বিনের নবরাত্রির পুজা শারদীয় পুজা ও বসন্তের নবরাত্রির পুজা বাসন্তি পুজা নামে পরিচিত। ২০২১ সালে কলকাতার দুর্গাপূজা ইউনিস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

গুজরাটের কচ্ছের একটি দুর্দান্ত উৎসব হল ‘রন উৎসব’। এটি সংগীত, নৃত্য, প্রকৃতি, সাদা রনের সৌন্দর্যের একটি কার্নিভ্যাল। এটি সাধারণত শীতকালে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত হয়।

Losoong উৎসবটি ফসল কাটার মরশুমের শেষে এবং গ্রামীণ সিকিমে তিব্বতি ক্যালেন্ডারের দশম মাসের শেষে উদযাপিত হয়। এটি ভুটিয়া এবং লেপচা সম্প্রদায়ের নববর্ষ উৎসব।

‘জাল্লিকাটু’ একটি জনপ্রিয় ষাঁড় টaming খেলা যা তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উদযাপনের অংশ হিসাবে চার দিনের পোঙ্গল উৎসবের তৃতীয় দিনে মাতু পোঙ্গলে এটি অনুশীলন করা হয়। জাল্লিকাটু শব্দটি তামিল শব্দ ‘সাল্লি কাসু’ থেকে এসেছে।

এটি একটি প্রাচীন ক্রীড়া হিসাবে খ্যাত, যা প্রায় ২৫০০ বছর আগে অনুশীলন করা হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। এই উৎসবটি ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিন্তু সরকার জানুয়ারি ২০১৭ সালে জাল্লিকাটুর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এটি ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণ করার খেলা।

ভারতীয় ক্যালেন্ডারের নতুন বছরের শুরুতে উগাদি (অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক), বিহু (আসাম), গুঁড়ি পওয়া (মহারাষ্ট্র), পুথান্ডু (তামিলনাড়ু), বিষু (কেরা) এবং বিশ্ব সংক্রান্তি (ওড়িশা) উৎসবগুলি পালিত হয়। এগুলি বিভিন্ন অঞ্চলে নববর্ষের সূচনাকে চিহ্নিত করে।

হিন্দু ক্যালেন্ডারের জানুয়ারি মাসের একটি উৎসবের দিন হল মকর সংক্রান্তি, এটি সূর্য দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। এই উৎসব শীত থেকে গ্রীষ্মে পরিবর্তনের সূচনা করে। ঘুড়ি ওড়ানো এই উৎসবের প্রধান অনুষ্ঠান। এটি একটি ফসল কাটার উৎসবও বটে। (বিকল্পগুলিতে ‘ফসল কাটার উৎসব’ এবং ‘ঘুড়ি উৎসব’ দুটোই আছে। তবে ‘ঘুড়ি উৎসব’ মকর সংক্রান্তির একটি বিশেষ অঙ্গ)। প্রদত্ত বিকল্পে ‘ঘুড়ি উৎসব’ ಹೆಚ್ಚು সঠিক।

পাঞ্জাবের লোহরী, তামিলনাড়ুর পোঙ্গল এবং পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বৈশাখী হল ফসল কাটার উৎসব। মকর সংক্রান্তিও অনেক অঞ্চলে ফসল কাটার সাথে সম্পর্কিত। তাই এগুলি সবই মূলত ফসল কাটার উৎসব।

হোলি একটি জনপ্রিয় প্রাচীন হিন্দু উৎসব, যা ‘বসন্তের উৎসব’, ‘রঙের উৎসব’ এবং ‘প্রেমের উৎসব’ নামেও পরিচিত। এই উৎসবে লোকেরা একে অপরের দিকে রঙ ও জল ছিটিয়ে আনন্দ করে।

শিগমো (Shishirotsava) হল গোয়ার একটি বসন্ত উৎসব। এটি কোঙ্কনী প্রবাসীদের দ্বারাও পালিত হয় এবং ভারতীয় উৎসব হোলির একটি অংশ। এটি গোয়ার অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।

দিওয়ালি বা দীপাবলি বা আলোর উৎসব নামেও পরিচিত। ভারতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এটি আধ্যাত্মিকভাবে ‘অন্ধকারের উপর আলোর বিজয়, খারাপের উপর ভালোর এবং অজ্ঞতার উপর জ্ঞানের বিজয়ের’ প্রতীক। পোঙ্গল, বৈশাখী ও লোহরি কৃষির সাথে (ফসল কাটা) সম্পর্কিত।